আটলান্টিকের ছোট্ট, সুন্দর আর পরিপাটি দেশটা
এ কেমন পাহাড়?
সান তোমে দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কারনে। আফ্রিকার পশ্চিম দিকে এই দ্বীপগুলো থেকে ক্যামেরুন হয়ে চাদ পর্যন্ত একটি আগ্নেয়গিরির সারি রয়েছে, যাকে ক্যামেরুন লাইন বলে। এই এলাকায় অনেক মৃত আগ্নেয়গিরি দেখতে পাওয়া যায়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সাময়িকভাবে খারাপ হলেও, এর ফলে আশেপাশের মাটি ভবিষ্যতের জন্য অনেক উর্বর হয়ে ওঠে।
এই উর্বর মাটির উপরেই দুটি দেশ নিয়ে চারটি দ্বীপ রয়েছে। সান তোমে ও প্রিনচিপের দুটি দ্বীপ এবং ইকুয়েটোরিয়াল গিনির দুটি দ্বীপ - বিওকো ও আনোবন। আনোবন দেখা হয়নি আমার, কিন্তু অন্য তিনটি এই ট্রিপে দেখেছিলাম। এদের এক অপূর্ব বৈশিষ্ট্য আছে - প্রতিটি দ্বীপ সবুজ, সবুজ আর সবুজ! একেবারে জঙ্গলে ভরা এক একটি দ্বীপ।
হাজার হাজার বছর ধরে যখন লাভা/ম্যাগমা জমে শক্ত হয়ে যায়, তখন এমন অদ্ভুত পাহাড় মাঝে মাঝে দেখা যায়। এই ভেন্ট দিয়ে একসময় আগ্নেয়গিরির আগুন নির্গত হতো, কিন্তু যেহেতু এখন মিশে গেছে, তাই এমন অদ্ভুত আকারের পাহাড় তৈরি হয়েছে। এদেরকে বলা হয় ভল্কানিক প্লাগ। যারা শ্রীলংকার সিগিরিয়াতে গিয়েছেন, সেটাও এমনই একটি ভল্কানিক প্লাগ।
সান তোমে দ্বীপের সবচেয়ে পরিচিত এই ভল্কানিক প্লাগের নাম পিকো কাও গ্র্যান্ডে (যার অর্থ, 'বড় কুকুরের শিখর!')।
এর উচ্চতা ২,১৭৫ ফুট (যদিও এর আশেপাশের এলাকাও উঁচু হওয়ায় মাটির লেভেল থেকে প্রায় ১,২০০ ফুটের মতো উঠতে হয়)। অতিরিক্ত খাড়া হওয়ার কারণে এটি হাইকিং বা ট্রেকিং করে ওঠা যায় না। তবে গত এক দশক ধরে চাইলে রক ক্লাইম্বিং করা যায়, সাপের ভয় উপেক্ষা করে যদি কেউ করতে চায় আরকি!
বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url