নাফ নদী যেখানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভূখণ্ডকে বিভক্ত করেছে
নাফ নদী যেখানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভূখণ্ডকে বিভক্ত করেছে। নেটং চূড়া (দেবতা পাহাড়) থেকে নাফ নদীর জলধারার কলকল শব্দে মুগ্ধ করে।
পাহাড়ের চূড়ায় থেকে নাফ নদীর অপরূপ দৃশ্য। এই পাহাড়ের খুব কাছেই রয়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তৈরি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বাংকার ও ব্রিটিশ স্থাপনা টি অ্যান্ড টি ভবন। চারদিকে সবুজের সমারোহ। পাহাড়ে হাতি, হরিণ, বানর, ভুতুম প্যাঁচা, পাহাড়ি মুরগি, ময়ূর, মেছো বাঘসহ কয়েক প্রজাতির পশুপাখির বসবাস। নেটং পাহাড়ের গা বেয়ে নামা ঝিরি-ঝরনা দেখা মিলবে। তাছাড়া নাফের জলধারা আন্তর্জাতিক সীমানা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নদী, আর নেটং পাহাড়ের চূড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিভাজক করেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬৩ কিলোমিটার এবং এর প্রকৃতি সর্পিলাকার। নাফ নদী, নেটং পাহাড় ও
নাফের একটি অংশের স্রোতধারা মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। তাই সাগর, নদী, পাহাড়-প্রকৃতির মিতালি দেখে মুগ্ধ তারা। নাফ নদী, নেটং চুড়া, সাগরের বিশালতা ও আরকান রাজ্যের আকাশ ছুঁয়া পাহাড়ের উপর দিয়ে সূর্য উদয়ের হাতছানি এড়ানো ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সত্যি কঠিন।
বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url