মেনোপজ কি এবং কখন হয়

 মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবারমেনোপজ কি এবং কখন হয় আপনি কি এ বিষয়ে জানতে চান। তাহলে আপনি সঠিক জায়গা এসেছেন । আজকের এই আর্টিকালে আমরা নারীদের মেনোপজ কি এবং কোন সময় তাদের মেনোপজ হয় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মেনোপজ-কি-এবং-কখন-হয়
সাধারণত মেনোপজ হলো নারীদের জীবনের একটি অন্যতম অধ্যায়। যেই অধ্যায়ের মাধ্যমে তারা তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারান। এক্ষেত্রে মেনোপজ কি এবং কখন হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আরটিকেল জেলা আমাদের সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মেনোপজ কি এবং কখন হয়

মেনোপজ কি এবং কখন হয়

মেনোপজ মূলত নারীদের জীবনের একটি অন্যতম ধাপ। কেননা এই ধাপ টি মূলত তাদের স্থায়ীভাবে পিরিয়ড বন্ধ করে প্রজনন ক্ষমতা শেষ হওয়ার মাধ্যম। এই সময় নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নানান ভাবে প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি যেমন অতিরিক্ত গরম লাগা, মানসিক চাপ, মনোভাবের পরিবর্তন, যৌন আকাঙ্ক এবং শরীরের ক্লান্তি অনুভূত হওয়া ইত্যাদি। বিশেষ করে এই সময় তাদের হরমোনের উপর বেশি প্রভাব পড়ে। 

মোটকথা মেনোপজ মূলত নারীদের জীবনের কোন রোগ নয়, এটি জীবনের সাধারণ একটি ধাপ, তবে এর সাথে থাকা উপসর্গগুলো কিছু মহিলাদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নারীরা যদি মেনোপজ সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বাড়িয়ে নিজেদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালোভাবে বুঝতে পারে। তাহলে এটি খুব সহজেই মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। তাই চলুন আমরা আরো বিস্তারিত জেনে নেই মেনোপজ কি এবং কখন হয়।

মেনোপজ কি

প্রথমেই আমরা যদি বলি মেনোপজ কি ? এ বিষয়ে বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে একজন মেয়ের জীবনে সাধারণত  ধাপ থাকে শিশুকাল, কিশোরী এবং বিকশিত জীবনের পর আরেকটি হচ্ছে মধ্যবয়স্ক। আর এই মধ্য বয়সের শেষের দিকেই যখন একজন নারীর মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়  তখন সেটাকেই মেডিকেলের ভাষায় মেনোপজ বলে। 

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত টেনশন দূর করার উপায়

এই সময় মূলত নারীরা তাদের প্রজনন ক্ষমতা এটি সাধারণত নারীদের গড়ে ৪০ থেকে শুরু করে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে এর চেয়ে কম বয়সেও মেনোপজ হতে পারে। মূলত এই সময়ে নারীরা শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। তবে সঠিক সতর্ক এবং সচেতনতা অবলম্বন করার মাধ্যমে এই সমইয়েও স্বাস্থ্যকর ভাবে জীবনযাত্রা বজায় রাখা যায়।

মেনোপজ নারীদের জীবনে কেন হয়

মেনোপজ নারীদের জীবনে হওয়ার কারণ হলো, সাধারণত নারীদের দুইটি ডিমের থলি থাকে। যা মূলত ডিম্বাশয় নামে পরিচিত। আর এই ডিম্বাশয় থেকেই একটা মেইলি হরমোন আসে, যার নাম ইস্ট্রোজেন। মূলত এই ইস্ট্রোজেন যখন একজন নারীর শরীরে কমে যায়, তখনই  মেনোপজ হয়। আর এই ইস্ট্রোজেন হরমোন সাধারণত নারীদের ৪০ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে কমে যায়, যার ফলে মেনোপজ হয়। তবে হ্যাঁ কিছু নারীর ক্ষেত্রে এর চেয়ে কম বয়সেও মেনোপজ হতে পারে। এটি তাদের হরমোনাল সমস্যার কারণে অথবা বংশ পারস্পরিকভাবে ও হয়ে থাকে। এই মেনোপজের সময় নারীদের পিরিয়ড একেবারে বন্ধ হয়ে যায় এবং তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

মেনোপজের লক্ষণসমূহ কি কি

সাধারণত মেনোপজের সময় নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। যেই সমস্যাগুলো তাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে নারীদের মেনোপজ শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। যেগুলো মূলত তাদের মেনোপজের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে। তাই চলুন আমরা জেনে নেই একজন নারীর জীবনে মেনপজের সময় কি কি লক্ষণ দেখা দেয়।

মেনোপজ-কি-এবং-কখন-হয়হটফ্লাসঃ হটফ্লাশ বলতে বোঝায় শরীরে হঠাৎ করে গরম লাগা বা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে যাওয়া। সাধারণত রুমের মধ্যে ফ্যান অথবা এসি থাকার পরেও যদি একজন নারীর হঠাৎ করে  অতিরিক্ত গরম লাগে বা ঘামতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটি হটফ্ল্যাশ এবং মেনোপজের একটি লক্ষণ। এই লক্ষণটি মূলত দিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ বার দেখা দিয়ে থাকে।

বিষন্নতায় ভোগাঃ মেনোপজ এর সময় নারীদের যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিষণ্ণতায় ভোগা। মূলত এই সময় নারীরা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। সব সময় নিজেকে একাকীত্ব মনে করে বা কোন সাধারণ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত রেগে যায়। এবং এর সাথে এই সময় তারা কোন কাজ করে আনন্দ পায় না সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকে। এটিও মূলত নারীদের মেনোপজের একটি লক্ষণ। তাই এই সময় তাদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যৌন সমস্যায় ভোগঃ সাধারণত মেনপজের সময় নারীদের যোনিপথ অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে দেখা যায় তাদের যৌনতার সময় প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত করে এবং কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়। এটি মূলত মেনোপজের একটি লক্ষণ। এই সময়ে একজন নারীর লক্ষণটি অবলম্বন করার জন্য, অবশ্যই তার সহযোগীর সাথে খোলামেলা পরামর্শ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

মেনোপজে কতদিন স্থায়ী থাকতে পারে

সাধারণত একজন নারীর মেনোপজ কিন্তু একদিনেই হয় না, এটি তার বয়সের সাথে সাথে ধীরে ধীরে হতে থাকে। যেমন মেনপজের এর সময় নারীদের মাসিক ২-৩ মাস পরপর হতে থাকে। এক্ষেত্রে যখন তার মাসিক বা পিরিয়ড একাধারে বারো মাস বন্ধ হয়ে যায়, তখনই সেটিকে মেনোপজ হিসেবে ধরা হয়। মেনোপজ মূলত ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর কারণ হলো এই সময় তাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যা ধীরে ধীরে তাদের বাস্তবজীবনে প্রভাবিত করে। 

যেমন তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ এবং যৌন চাহিদার অনেক পরিবর্তন ঘটে। যে পরিবর্তনগুলোর প্রভাবই তাদের মেনপজের সময়কে আরো বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে নারীরা মেনোপজ এর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মেনোপজ কি এবং কখন হয় এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে, অবশ্যই এই সময়টি স্বাস্থ্যকর ভাবে কাটানো সম্ভব।

মেনোপজ কি আসলে বংশগত

মেনোপজ সাধারণত নারীদের জীবনের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে তাদের পিরিয়ড একেবারে বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এটি মূলত নারীদের জীবনে ৪০ বছর এর পর থেকে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই মেনোপজ বংশগতভাবে হতে পারে যেমন একজন নারীর মায়ের বা তার পরিবারের অন্য কারো  যদি নির্দিষ্ট সময়ে মেনপজ হয়ে থাকে, তাহলে ওই নারীর উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে মেনোপজের সময় সাধারণত জীবনযাত্রা, এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরে বেশি নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে একটি বংশগতভাবে হয়ে থাকে। সর্বোপরি মেনোপজ কিছুটা বংশগতভাবে হলেও অন্যান্য ফ্যাক্টর এর উপর ভিত্তি করেই তার সময় অনুযায়ী  হয়ে থাকে।

মেনোপজে ইস্ট্রোজেন হরমোন সেবন করার ভূমিকা 

সাধারণত আমরা জানি মেনপজের সময় নারীদের মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক নারীই মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে মনের দিক দিয়ে নিগ্রহতা ফিল করে। সে নিজেকে সব সময় একাকীত্ব ভাবে, যার ফলে তার শরীরের মেটাবলিজম ধীরে ধীরে প্রভাবিত হতে থাকে। এক্ষেত্রে কেউ যদি হরমোন নেয়, তাহলে তার এই সমস্যাগুলোর আগের মতো আর মনে হয় না।

আরো পড়ুনঃ বড়দের খিচুনি হওয়ার ৫টি কারণ

বিশেষ করে কোন সুস্থ সবল নারী যদি নিয়মিত হরমোন সেবন করেন তার মেনপজের ১০ বছরের ভিতরে, তবে সে তার এই সময়ের সমস্যাগুলো সহজভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবেন। তবে লিভার সমস্যার রোগীদের জন্য হরমোন নেওয়া ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ হরমোন লিভারের উপর ইফেক্ট ফেলে। তাই মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেন হরমোন সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করাই ভালো হবে।

মেনোপজের পরে কি বাচ্চা হয়

সরাসরি ভাষায় মেনোপজ বলতে বোঝায়, যখন একজন নারীর কোন ডিম্মাশয় থাকে না, বা তাতে কোন কার্যক্রম নেই অথবা ঠিকঠাক ভাবে তার কোনো হরমোন কাজ করে না এই সময়টিকে। এক্ষেত্রে কোন নারীর যদি বয়স ৪৫ বছর পার হয়ে যায়, তখন তার গর্ভধারণের কোন হরমোন কাজ করতে পারে না। মূলত মেনোপজের সময় চলার জন্য তার প্রজনন ক্ষমতা একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে, যায় ফলে বাচ্চা হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।

মেনোপজ-কি-এবং-কখন-হয়
তবে যদি ৪০ বছরের নিচে যদি বয়স থাকে এবং কিছু সময় ধরে মেনোপজের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে বাচ্চা নেওয়ার কিছু সম্ভাবনা থাকে। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে যিনি বাচ্চা নিবেন তার গর্ভধারণ করার ধখল সামলানোর ক্ষমতা আছে কি নাহ। যদি সে সকল সমস্যার মোকাবিলা করার সক্ষমতা রাখে, এক্ষেত্রে সে চাইলে বাচ্চা নিতে পারে। বিশেষ করে কোন নারীর যদি সবেমাত্র মেনোপজ  শুরু হয় এবং তার গর্ভধারণ করার জন্য সক্ষম, তাহলে সে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চা নিতে পারবে। তবে অবশ্যই এ বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

মেনোপজের চিকিৎসা

সাধারণত মেনপজের সময় নারীদের সুস্থ রাখার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা হল তার জীবনযাপনের পরিবর্তন। জীবন যাত্রার পরিবর্তন যেমন এই সময়ে তাদের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, চা, কফি বা এই ধরনের অ্যালকোহলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এবং তার ঘুম যেন পর্যাপ্ত হয় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ও নিয়মিত গোসল করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০ টি উপকারিতা 

এছাড়াও তার খাদ্যভাসের দিকেও বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। সুষম খাবার যেমন মাছ, মাংস শাকসবজি এবং এর পাশাপাশি ফলমূল বেশি বেশি খেতে হবে, যাতে তার শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিন্তু চর্বি জাতীয় খাবার যেমন ভাত, আলু, মিষ্টি বা বাইরের ড্রিংস এ জাতীয় খাবার গুলো একটু কম গ্রহণ করতে হবে, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

বিশেষ করে এই সময় দেখা যায় মায়েদের একাকীত্ব মনে হয়, এ ক্ষেত্রে তারা নিজেকে মানসিক চাপে রাখতে পারে, এই সময় করণীয় সকলের সাথে সামাজিকতা বজায় রাখা, সামাজিক কাজগুলোর মধ্যে নিজেকে যুক্ত করা। যাতে তাদের সব সময় মন-মানসিকতা উৎফুল্ল থাকে এবং কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না হয়। এর ফলে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতাও বাড়বে এবং এই মেনপজের সময়টিতে স্বাচ্ছন্দভাবে জীবনযাত্রা করতে পারবে। সর্বোপরি মেনপজের সুস্থ থাকার মূল কারণ হলো মেনোপজ কি এবং কখন হয় এ বিষয়ে আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা অবলম্বন করা। যাতে একাকীত্ববোধ না হয় এবং মন ভালো থাকে।

লেখকের শেষ কথা

মেনোপজ মূলত নারীদের জীবনের একটি সাধারণ অধ্যায়। যে অধ্যায়টিতে তাদের শারীরিক এবং মানসিক অনেক পরিবর্তন হয়। যা তাদের স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে এই সময়ে সঠিক খাদ্য বাস, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেনোপজ বিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করলে অবশ্যই এই সময়টি স্বাস্থ্যকর ভাবে কাটানো সম্ভব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি মেনোপজ কি এবং কখন হয় এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আরও তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।37912

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url