তিমির দুধ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ দুধের একটি


 তিমির দুধ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ দুধের একটি। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চর্বি থাকে, যা গরু বা মানুষের দুধের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। এই দুধ এতটাই ঘন যে এটি পানিতে মিশে যায় না—বরং ঘন ক্রিমের মতো স্থিতিশীল থাকে। সমুদ্রে জন্ম নেওয়া বাচ্চা তিমিরা মায়ের কাছ থেকে এই দুধ সরাসরি পান করে, এমনকি তা পানির নিচেই সম্ভব হয়।


এই ঘন দুধ বাচ্চা তিমির দ্রুত বৃদ্ধি ও ওজন বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারা প্রতিদিন প্রায় কয়েক কিলোগ্রাম ওজন বাড়ায়, এবং এই দ্রুত বৃদ্ধির মূল জ্বালানি আসে মায়ের এই উচ্চ-চর্বিযুক্ত দুধ থেকে। সমুদ্রের ঠান্ডা পানিতেও এই দুধ জমে না, যা বাচ্চা তিমির জন্য শক্তি ও তাপ বজায় রাখার উপযুক্ত উপাদান হিসেবে কাজ করে।

 তিমি মায়েরা সমুদ্রের মাঝখানে তাদের বাচ্চাদের দুধ পান করায়—কোন বোতল নেই, কোন পৃষ্ঠ নেই, কোন বিশ্রাম নেই।


তাদের দুধ পৃথিবীর অন্য যেকোনো শিশুর মতো নয়: প্রায় ৫০% চর্বিযুক্ত, ক্রিম পনিরের মতো ঘন এবং পানিতে খুব কমই দ্রবীভূত হয়। এভাবেই একটি শিশু তিমি সমুদ্রে এক ফোঁটাও না ফেলে পানির নিচে পান করতে পারে।


ফলে এই দুধ একটি নবজাতক তিমির পুষ্টিগুণ হিসেবে কাজ করে যা দিনে ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন বাড়াতে পারে, খোলা স্রোতে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।


এটি বিবর্তনের নীরব অলৌকিক ঘটনা—সম্পূর্ণ নীরবতায় তৈরি একটি বন্ধন, সমুদ্রের বিশালতায় যেখানে কেবল সহজাত প্রবৃত্তি এবং উষ্ণতা বিদ্যমান।।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url