আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ভালো দিক এবং খারাপ দিক:-
কাঁচা এবং পাকা আমের উপকারিতা এবং কখন খেতে খাবেন??
পাকা আমের উপকারিতা:
১.আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা এবং সুন্দর করে।
২.এটি লোমের গোড়া পরিষ্কার করে এবং ব্রণ এর সমস্যা দূর করে।
৩.পাকা আমে খনিজ লবণ থাকে যা আমাদের চুল, নক এবং দাঁতকে মজবুত করে।
৪.আমে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের স্নায়ু কোষের অক্সিজেন সরবরাহ অচল ও শরীর সতেজ রাখে,তাই আম খেলে আমাদের তারাতাড়ি ঘুম চলে আসে।
৫.আমে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন এক কাপ আমের রস খান তাহলে আপনার শরীর এ ভিটামিন এ এর চাহিদা ২৫ % মিটে যাবে।
৬.আম রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
৭.আমে ২৫ প্রকার ক্যালরি এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
এইবার কাঁচা আম খাওয়ার উপকারীতা :
১.মানুষের শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রণের ঘাটতি পূরণ করে এই কাঁচা আম।
২.গরম থেকে বাঁচতে সাহায্য করে এই কাঁচা আম।
৩.এই ছাড়া হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি কমায়।
৪.কাঁচা আমে ভিটামিন সি থাকার কারণে যেকোনো ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
৫.পেটের সমস্যা যেমন এসিডিটি,বদহজম এবং কোষ্টকাঠিন্ন থেকে রক্ষা করে।
৬.এটি স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৭.এটি চোখের রেটিনা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আমের যে রকম ভালো দিক অছে তেমন কিছু খারাপ দিকও আছে যেমন:
১.আম এলার্জির সমস্যা করতে পারে।
২.আমে উচ্চ মাত্রায় প্রকৃতিক চিনি থাকার কারণে তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩.আম খেলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যেতে পারে কারণ আমে থাকা ফাইবার এর চেয়ে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
৪.বিভিন্ন আমে কম পরিমাণ ফাইবার থাকে কিন্তু আমের খোসা এবং বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না তাই হজমে বেঘাত ঘঠাতে পারে।
***আম খাওয়ার সঠিক নিয়ম: আম যখন তখন খাওয়া উচিত নয় এবং এটি দুপুরে কিংবা রাতে খাওয়া উচিত নয় কারণ তখন খাবারের পর আম খেলে হজম না হয়ে বদ হজম হতে পারে তাই এটি সকালে কিংবা বিকালে খাওয়া উচিত।
বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url