অবুঝ মনের ভালবাসার গল্প পর্ব -১

 

ইশিতা: ঠাসসসস ঠাসসসস করে থাপ্পড় দিল, তোর সাহস কি করে হয় আমাকে প্রেম পত্র দেওয়ার।



আমি:ইচ্চা করে দেই নি।



ইশিতা:হয়েছে আর কিছু বলতে হবে না তোকে। তোদের মতো ছেলের জন্য আজ সমাজ অবহেলিত।প্রথম দিন ভার্সসিটি তে এসে প্রপোজ করচছ জানি না আর কত কি করবি, তুই যে এমন একটা কাজ করবি ভাবতেও পারি নাই।দেখেতো ছোট বাচ্চা মনে হয়। 


আমি:আমাকে থাপ্পড় মারছে যে সেটা সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে আর আমি কোনো কিছু না করে এভাবে থাপ্পড় খেলাম,আমি হচ্চি তামিম, আমার বয়স ১৯, আমার কোনো পরিবার নেই, ছোট বেলা থেকে এতিম,একটা হোটেলে রাতের বেলায় চাকরি করে কোনো রকমে নিজের খাওয়ার খরচ চালাই।এতিম খানায় বড় হয়েছি এবং পড়ায় ভালো পাস  করছি , তাই এই কলেজে চান্স পেয়েছি।আমি কলেজের গেইট দিয়ে বের হয়ে যাইতেছি হঠাৎ কেউ একজন ডাক দিল। 


সাফিক:কলেজে নতুন নাকি বড় ভাই দেখলে সালাম দিতে হয় জানস না। 


আমি :সরি ভুল হয়ে গেছে আমি আপনাদের খেয়াল করি নাই। 



সাফিক:এর পর থেকে সালাম দিবি তোর নাম কি? 


আমি:আমার নাম তামিম।


সাফিক : আচ্চা এই ক্লসে যাওয়ার সময়  খামটা ওই মেয়েটাকে দিবি এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা খাম, শুধু ওর হাতেই দিবি।


আমি:আচ্চা ভাইয়া।আর খামটা দেওয়ার পর কি হলো তা তো আপনারা জানেন।আমি ক্লাসে চলে আসলাম এবং ওই মেয়েটা আর ছেলেগুলো ও আমার ক্লাসে আসেছে তার মানে ছেলেগুলো আমার বড় নয়।ক্লাসের ছুটির পর বের হলাম তারপর শুনলাম


সাফিক:ছেলেটাকে অনেক বোকা বানালাম, কথাটা শুনে মন খারপ চলে আসলাম।



আমি :আমার বাসায় এসে একটু ফ্রেশ হলাম তারপর হোটেলে কাজ করার জন্য চলে গেলাম এতিমখানা থেকে চাকরির ব্যবস্থা করি দিয়েছিল।এবং ৩টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত কাজ করি হোটেলের।আর এদিক সেদিক করতে কাজে যেতে দেরি হলো আর ম্যানেজার বলব 



ম্যানেজার:এই জন্যই তোমাদের কাজ দিতে নেই প্রথম দিন এসে দেরি কেন। 



আমি:সরি আর হবে না।তারপর কাজ শেষ করে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরেরদিন আমি আবার ক্লাসে গেলাম তারপর একটা ছেলে আমাকে ইশিতার গায়ে ধাক্কা মারব ইশিতা আবার আমাকে থাপ্পড় মারল। 



ইশিতা:বিয়াদব,কি সমস্যা তোর, কালকে আমাকে লাভ স্টোরি দিলি আজকে আবার জড়িয়ে ধরলি, আর কোনো দিন আমার সামনে আসবি না। 



আমি:এখানে আমার কোনো দোষ ছিল না কিন্তু তাও থাপ্পড় খেতে হলো কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম।তারপর আবার হোটেলে কাজ করতে চলে গেলাম।



ম্যানেজার:এই তামিম যাও তো এই খাবারগুলো দিয়ে এসো। 




ম্যাম:কি ব্যাপার খাবার আনতে এতো দেরি হলো কেন 


আমি :কই ম্যাম ঠিক টাইমে তো আনছি।



ম্যাম:মুখে মুখে কথা বল এখন যাও এইখান থেকে।



আমি:তারপর চলে আসলাম এবং হোটেলের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম।তারপর দিন আবার স্কুলে গেলাম 



সাফিক:,কিরে তুই প্রতি দিন একই শার্ট পরে কেন স্কুলে আসছ 


আমি:তার কথা মুনে সবাই হাসা শুরু করল, আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আর সেখান থেকে চলে আসলাম।ক্লাস শেষ করলাম এবং ক্যান্টিনে গেলাম খুব ক্ষুদা লাগছিল আমি বসে বসে সিঙ্গারা খাচ্চি সে সময়ে সাফিক আর তার বন্ধুরা এলো এবং তারাও সিঙ্গার থেয়ে দোকানদারকে দেকিয়ে দিয়ে বলল টাকা ও দিবে, আমি কিছু বলার আগে ওরা চলে আসল বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হলো।ভাবছি আজকে দুপুরে না খেয়ে থাকতে হবে।এমন সময় বড় ভাই কল দিল।




বড় ভাই:তামিম তোর রক্ত কোন গ্রুফ 


আমি :এ পজেটিভ।


বড় ভাই:আচ্চা তুই কি একজনকে রক্ত দিতে পারবি।




আমি:হ্যাঁ পারব,ওদিন আর না খেয়ে থাকতে হলো না তারা আমাকে অনেক খাবার এনে দিয়েছিল।




বড়ভাই:তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। 



আমি:তারপর হোটেলে চলে গেলাম কাজ করার জন্য এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে আজকে, কি জানি ম্যানেজার কি বলবে।



ম্যানেজার;তোমার কি কোনো দায়িত্ববোধ নেই , সবসময় দেরি কর।



আমি:সরি স্যার আর দেরি হবে না। 


ম্যানেজার :এরপর থেকে যেন মাথায় থাকে।যাও এখন কাজ করতে যাও।



আমি:তারপর কাজ শেষ করে বাসায় চলে এলাম।তারপর দিন ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে আবার স্কুলে চলে গেলাম



সাফিক:ওই তামিম এই দিকে আয়।আজকে তোকে এতসহজে ছাড়চি না।



আমি:কি বলবেন তারাতাড়ি বলেন। 



সাফিক:তুই গিয়ে ইশিতাকে প্রপোজ করবি।



আমি :ইশিতা কে? 



সাফিক:হা হা এখনো ইশিতাকে ছিনস না,ওই দিন যে মেয়েটার থেকে থাপ্পড় খাইলি ও হচ্চে ইশিতা।



আমি:না,না আমি ওকে গিয়ে প্রপোজ করকে পারব না। 



সাফিক:তাহলে অন্য স্টাইলে সিগারেট খাওয়াব,এই গাঁজাগুরো সিগারেটের মধ্যে ঢোকা,



আমি:বাধ্য হয়ে না চাওয়ার সত্বেও প্রপোজ করতে গেলাম ইশিতাকে।মাথা নিচু করে প্রপোজ করলাম।


ইশিতা:ঠাসসস ঠাসসস, ছোটলোকের বাচ্চা তুই আজকে আবার কোন সাহসে আমাকে প্রপোজ করলি। চল পেন্সপাল এর কাছে।



আমি:তারপর আমাকে পেন্সিপাল এর কাছে নিয়ে গেল



ইশিতা: স্যার ও আমাকে সবসময় বিরক্ত করে।


পেন্সিপাল:তোমাদের মতো বোকাটে ছেলেদের জন্য স্কুলের বদনাম হয়,এর পরে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে দিব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url