প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ

 এলার্জি রোগের চিকিৎসাপ্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। মূলত আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নারীদের সময়ের আগেই বা প্রিমোচিউর মেনোপজ হওয়ার কারণ এবং লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রিমোচিউর-মেনোপজ-বা-সময়ের-আগে-মাসিক-বন্ধ-হওয়ার-লক্ষণ
মেনোপজ মূলত নারীদের জীবনের একটি অন্যতম জৈবিক প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট বয়সে তাদের অবলম্বন করতে হয়। এক্ষেত্রে কিছু নারীর প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা থাকে, এটি মূলত কেন হয় এবং এর লক্ষণসমূহ কি, তা জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল আমাদের সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ

প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ

সাধারণত নারীদের মেনোপজ মানেই বোঝায় চিরতরে তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং প্রজনন ক্ষমতা একেবারে শেষ হয়ে যায়। মেনোপজ মূলত প্রতিটা নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। যেই ধাপটি মূলত একজন নারীর ৪০ বছর থেকে শুরু করে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে অবলম্বন করতে হয়। তবে কিছু নারীর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সের আগেই অর্থাৎ ৪০ বছর বয়সের আগেই মাসিক একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, তথা এই সময় তাদের মেনোপজের সম্মুখীন হতে হয়। 

এই বিষয়টি মূলত প্রিমোচিউর মেনোপজ হিসেবে ধরা হয়। নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার আগেই একজন নারীর মাসিক বন্ধ হয়ে প্রিমোচিউর মেনোপজ বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং এর বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণও থাকতে পারে। তাই প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সময়ের আগে মেনোপজ হওয়ার কারণ

সাধারণত প্রতিটা নারীর জীবনেই মেনোপজের সম্মুখীন হতে হয়। কারো নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এবং কারো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রিমোচিউর মেনোপজ হওয়ার মূল কারণ হলো নারীদের মূলত দুটি ডিম্বাশয় থাকে, এই ডিম্বাশয় যখন দ্রুত তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখনই নারীদের মেনোপজ হয়ে যায়। যেটি মূলত প্রিমোচিউর মেনোপজ নামে পরিচিত। 

মূলত সময়ের আগেই নারীদের ডিম্বাশয়ে কমে গিয়ে  প্রিমোচিউর মেনোপজ হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ থাকে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন যদি একটি নারীর সার্জারি হয়ে থাকে বা কোন ধরনের কেমোথেরাপি নিয়ে থাকে, তাহলে তার ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যেতে পারে। এগুলো কারণেও অল্প বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা প্রিমোচিউর মেনোপজ হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

মোটকথা প্রিমোচিউর মেনোপজ নারীদের কোন কারণ ছাড়াই হতে পারে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন নারীর সময়ের আগে যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় বা প্রিমোচিউর মেনোপজ হয়, তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ায়ই তার জন্য ভালো হবে।

প্রিমোচিউর মেনোপজের লক্ষণ সমূহ

সাধারণত প্রিমোচিউর মেনোপজ বলতে বোঝায় নারীদের মেনপজের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অর্থাৎ ৪০  বছর বয়সের আগে যখন তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে যায় এই এটিকে। নারীদের সাধারণ মেনোপজ আর প্রিমোচিউর মেনোপজের লক্ষণসমূহ প্রায় একই, যেহেতু সঠিক বয়স হওয়ার আগেই প্রিমোচিউর মেনোপজ হয়, এর জন্য নারীদের বিশেষ কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণের সম্মুখীন হতে হয়। তাই প্রিমোচিউর মেনোপজের লক্ষণ সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো।

প্রিমোচিউর-মেনোপজ-বা-সময়ের-আগে-মাসিক-বন্ধ-হওয়ার-লক্ষণমাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়াঃ প্রিমোচিউর মেনোপজের প্রধান লক্ষণ হল বয়সের আগেই অনিয়মিত মাসিক হয়ে যাওয়া বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি মূলত প্রিমোচিউর মেনোপজের সময় নারীদের জীবনে ধাপে ধাপে ঘটে, তবে কিছু ক্ষেত্রে হঠাৎ করে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাদের বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেমন অনিমিত মাসিক হওয়ার কারণে কখনোব অতিরিক্ত রক্তপাত হয় আবার কখনো একেবারে কম রক্তপাত হয়। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাসিকের সময়কাল পরিবর্তন হওয়ার কারণে এটি নারীদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

হট ফ্ল্যাশ হওয়াঃ হট ফ্ল্যাশ বলতে বোঝায় মেনোপজের সময় নারীদের হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরম অনুভব হওয়া এবং ঘাম হওয়া। বিশেষ করে প্রিমোচিউর মেনোপজের সময় এটি নারীদের বুকের অংশে বেশি হয়, যার স্থায়িত্ব ৫ থেকে শুরু করে ২০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এটি বিশেষ করে রাতের বেলায় বেশি হয়, ফোনে দেখা যায় নারীদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এবং অতিরিক্ত ঘাম হয়।

যৌন জীবনে পরিবর্তন হওয়াঃ বিশেষ করে অল্প বয়সে মেনোপজ হওয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো যৌন জীবনে পরিবর্তন হওয়া।কেননা মেনপজের সময়ে নারীদের যৌনিপথে অত্যন্ত শুষ্কতা অনুভব হয় যা তাদের শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে। যেমন যৌনিপথে শুষ্কতার কারণে তাদের উত্তেজনা অনুভব হয় এবং মিলনকে কষ্টদায়ক করে তুলে। 

প্রিমোচিউর মেনোপজ কিভাবে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে

আমরা জানি প্রিমোচিউর মেনোপজ তখনই ঘটে যখন একজন নারীর ৪০ বছর বয়সের আগেই তার মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় বা প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মূলত অল্প বয়সে মেনপজ হওয়ার কারণে একজন নারীর শরীরের হরমোন ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে তার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। 

আরো পড়ুনঃ যে সকল রোগের উপকার করে আমলকি

পর্যাপ্ত বয়স না হওয়ার কারণে হরমোনের পরিবর্তন নারীদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে যেমন অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে যাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা এবং হতাশার মত মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও প্রিমোচিউর মেনোপজ নারীদের যৌন জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, কেননা এই সময়ে তাদের যোনিপথে অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্কত অনুভব হয়, যা তাদের যৌন মিলনের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। 

এই ধরনের সমস্যা গুলো নারীদের শুধুমাত্র শারীরিকভাবেই না বরং মানসিকভাবেও অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যদি কেউ ভবিষ্যতে মাতৃত্বের পরিকল্পনা করে থাকেন তার জন্য হঠাৎ করে প্রিমোচিউর মেনোপজ দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। তাই প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ গুলো নিয়ে আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাতে এই সমস্যা গুলো পরবর্তীতে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বাধা প্রদান না করতে পারে।

প্রিমোচিউর মেনোপজ হলে প্রজনন ক্ষমতা কি ফিরে পাওয়া সম্ভব

সাধারণত মেনোপজের মাধ্যমেই একজন নারীর মাসিক একেবারে বন্ধ হয়ে প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে যায়। মূলত এর কারণ হলো নারীদের দুটি ডিম্বাশয় থাকে, যেই ডিম্বাশয় দুটি ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে নতুন করে উৎপাদিত হতে পারে না। ফলে তাদের প্রজনন ক্ষমতা প্রাকৃতিক ভাবেই হারিয়ে যায়। তবে প্রিমোচিউর মেনোপজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হরমোন থেরাপির মাধ্যমে ডিম্বাশয়ের কার্যক্ষমতা কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে, তবে এর নির্দিষ্ট কোন গ্যারান্টি নেই। 

মোটকথা বা প্রিমোচিউর মেনোপজ যেটাই হোক না কেন এগুলোর পর কোন নারী গর্ভধারণ করতে পারে না, তাই তার নতুন করে প্রজনন ক্ষমতা ফিরে পাওয়াও সম্ভব না। তাই এ বিষয়ে আগে থেকেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মেনোপজের প্রভাব কমাতে কোন খাবার গুলো ভালো

মেনপজের সময় নারীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন, এই সমস্যাগুলো সুস্থভাবে মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, দই, বাদাম, ব্রকলি ইত্যাদি। বিশেষ করে দেখা যায় মেনপজের সময় নারীদের হার অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো হার ক্ষয় রোধ করতে ভূমিকা রাখবে। 

এছাড়াও অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন মাছ, মাংস, বিভিন্ন ধরনের ডাল ইত্যাদি। এ সকল খাবার নারীদের মেনপজের পর পেশি দুর্বল হওয়া রোধ করতে বেশ কার্যকরী।মেনোপজের পরে আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করে দেখা যায়, নারীদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম এবং শরীর খুবই শুষ্ক হয়ে যাযে, তাই এগুলো রোধ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান , ওর স্যালাইন এবং ডাবের পানি খাওয়া বেশ কার্যকরী।

প্রিমোচিউর মেনোপজ জনিত মাথা ব্যাথার কারণ ও সমাধান

মেনোপজের সময় নারীদের মাথাব্যথা হওয়া একটি গুরুতর সমস্যা, যা তাদের মানসিক চাপ অধিকারে বাড়িয়ে দিতে পারে। যেহেতু মেনপজের সময় নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে যায়, মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা হতাশ হওয়ার কারণেই এই সময়ে বেশিরভাগ মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। আর এই মাথা ব্যথাই তাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দৈনন্দিন জীবনে একটি প্রতিনিয়ত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এটি রোধ করার জন্য প্রথমে একজন নারীকে মেনপজের কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে হতাশ হওয়া যাবে না। 

প্রিমোচিউর-মেনোপজ-বা-সময়ের-আগে-মাসিক-বন্ধ-হওয়ার-লক্ষণকেননা মেনোপজ নারীদের জীবনের একটি অধ্যায়। প্রতিটা নারীর জীবনেই এই অধ্যায়টি অবলম্বন করতে হবে। কারো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে, আবার কারো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় আগে, তবে সবাইকেই এই ধাপ অবলম্বন করতে হবে। তাই এই বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সচেতনতা অবলম্বন করে মাথাব্যথা রোধ করার পাশাপাশি মেনোপজের সময় এর যে কোন প্রভাবই সঠিকভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

অল্প বয়সে মেনোপজ হলে হরমোন থেরাপি প্রয়োজন কি

সাধারণত মেনোপজের সময় এর বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, এগুলো মূলত শরীরের ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। বিশেষ করে অল্প বয়সে মেনপজ হলে এর প্রভাব গুলো আরো বেশি দেখা দেয়, যেমন ঘুম কমে যাওয়া, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হওয়া বা ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। মূলত এই সমস্যাগুলো তাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আরো পড়ুনঃ যে সকল রোগের উপকার করে আমলকি

এক্ষেত্রে যদি হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য থেরাপি গ্রহণ করা হয়, তাহলে এর প্রভাব গুলো নারীদের শরীরে কিছুটা কম দেখা দিতে পারে, তবে প্রিমোচিউর মেনোপজের যদি প্রভাব কম থাকে তাহলে হরমোন থেরাপি না নেওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। এক্ষেত্রে যে কোন হরমোন থেরাপি নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ায় একজন নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।

প্রিমোচিউর মেনোপজ হলে কিভাবে সুস্থ থাকা যায়

প্রিমোচিউর মেনোপজ হলে সুস্থ থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে বিষয়গুলো তাহলে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন। স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন তাদের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রেখে শরীরকে সুস্থ রাখবে, আর নিয়মিত ব্যায়াম তাদের শরীরকে ফিট রেখে মানসিক চাপ কমিয়ে রাখবে। তাই প্রিমোচিউর মেনোপজ হলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা হতাশা না হয়ে প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ অপরকে সচেতনতা অবলম্বন করার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তই স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা করতে অবলম্বন ভূমিকা রাখবে।

লেখকের শেষ কথা

সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়া বা প্রিমোচিউর মেনোপজ একজন নারীর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, তবে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এই প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কেননা সুস্থ জীবনধারায় পারে একজন নারীর মেনপজের সময় যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ করতে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি প্রিমোচিউর মেনোপজ বা সময়ের আগে মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণগুলো জানতে পেরেছেন। এরকম আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।37912


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url