কম্পিউটার বা ফোন কত দূরে বসাবেন জানুনকম দামে ভালো মোবাইল কোনটি এমন কিছু অনেকেই জানতে চান। অনেকেরই বাজেট হয়ে থাকে অল্প, যার জন্যে বাজেট নিয়ে কেমন মোবাইল পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাই এই বিষয়টি জেনে নেওয়া উচিত।
কম দামের মধ্যে ভালো মোবাইল অনেকেই খুঁজে থাকেন। এখনকার সময়ে ভালে মোবাইল পেতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তাই কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি তা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
পেজ সূচিপত্র : কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি
কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি
সবার কাছেই অনেক বেশী পরিমাণে টাকা থাকে না। তাই কারোও বাজেট কম হয়ে থাকে আবার কারো বাজেট বেশী হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি অল্প টাকায় ফোন কিনতে চান তাহলে আপনার বাজেট অনুযায়ী একটা ফোন সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
যেহুতো আপনার বাজেট কম তাই হাই কোয়ালিটির ফোন পাওয়া তো আর সম্ভব নয়। তারপর আপনার বাজেট অনুযায়ী কিছু ফোন ভালো হতে পারে সে গুলোর একটি তালিকা দেওয়া হবে। ফোন কেনার সময় সব সময় অফিশিয়াল সেট ক্রয় করবেন কোনো শো রুম থেকে অন্যথায় আপনাকে আইনি জামেলায় পড়তে হতে পারে।
আপনার বাজেট যদি ১০ হাজার টাকার কম হয়ে থাকে তাহলে কিছু ফোন দেখতে পারেন। যদিও ১০ হাজার টাকার কম বাজেটে একটা ভালো ফোন পাওয়া খুবই দুষ্কর ব্যাপার। তারপরও আপনার বাজেট অনুযায়ী বাজারের কিছু ফোন সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
১. Itel Zeno 10
এই মডেলের দুটি মডেল রয়েছে বাজারে। একেক মডেলের ফিচার অনুযায়ী একেক রকমের দাম।
- 3 GB RAM + 64 GB ROM এর দাম হয় ৫৯৯৯ টাকা।
- 4 GB RAM + 64 GB ROM এর দাম হয় ৬৪৯৯ টাকা।
Itel Zeno 10 এর সম্পর্কে যদি বিস্তারিত,
- 6.6" HD + IPS Screen.
- Unisoc T603 processor
- 8 MP Rear Camera
- 5 MP Front Camera
- 10W charger, 5000 mAh Battery
এই মডেলের ডিসপ্লে হলো ৭২০×১৬১২ পিক্সেল রেজোলিউশন সাপোর্টেড ৬.৬৬ ইঞ্চির HD Display দেওয়া হয়েছে। এই আই পি এস দিয়ে তৈরি ওয়াটার ড্রপ নচ স্কিনে 60 Hz রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে। এতে ডায়নামিক ফিচার রয়েছে যার ফলে নচ এক্সপেন্ড করতে সাহায্য করে।
ফোনটি Android 14 OS অপারেটিং সিস্টেমে লঞ্চ হয়েছে। প্রসেসিং এ ১.৮ গিগা হার্জ ক্লক স্পিড যুক্ত ইউনিসোক T603 octacore প্রসেসর রয়েছে। ফটোগ্রাফি করার জন্যে আপনি এখানে ডুয়েল ক্যামেরা সেট পাবেন। ব্যাক ক্যামেরায় এল ই ডি ফ্ল্যাশ সহ 8 MP প্রাইমারি সেন্সর এবং সাথে সেকেন্ডারি AI লেঞ্চ ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের ক্যামেরায় আপনি 5 MP ক্যামেরার সুবিধা পাবেন। এই ফোনের ৩ জিবি ভেরিয়েন্ট সহ ভার্চুয়াল ৫ জিবি সহ ৮ জিবি র্যাম পারফরম্যান্স পাবেন। আবার ৪ জিবি ভেরিয়েন্টে ৮ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম সহ মোট ১২ জিবির র্যাম পারফরম্যান্স পাবেন। চার্জিং করার জন্যে ১০ ওয়াটের চার্জার পাবেন ইউ এস বি টাইপ সি হবে। ব্যাটারির হবে ৫০০০ অ্যাম্পিয়ারের।
২. Moto G05
- 4 GB RAM + 64 GB ROM = 6999 tk
Moto G05 এর বৈশিষ্ট্য গুলো হলো :
- 6.67 " HD + 90 Hz Refresh rate
- Media tek Halio G81 Extreme
- 18 w charger, 5200 mAh Battery
- 50 MP Back Camera
- 8 MP front Camera
Moto G05 সম্পর্কে বিস্তারিত :
Moto G05 তে 90 Hz refresh rate সুবিধা পাবেন। ব্রাইটনেস সুবিধা পাবেন ১০০০ নিটস। ৩ প্রোটেকশন গোরিলা গ্লাস ও ওয়াটার টাচ ফিচার সুবিধা এতে রয়েছে। তা ছাড়া ৬.৬ " এইচ ডি ডিসপ্লে সুবিধা রয়েছে। এর প্রসেসরে Android 15 OS সুবিধা রয়েছে। আপনি দুই বছরের সিকিউরিটি আপডেট নিতে পারবেন। এটি Media Tek Helio G81 Extreme 8 Core processors এর সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ফোনটিতে পোট্রেট মোড ও নাইট ভিসন সহ ৫০ মেগা পিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। সেলফি বা ভিডিও কল করার জন্যে ৮ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। ফোন চার্জ করার জন্যে ১৮ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জিং সুবিধা পাবেন। এতে সাপোর্টেড ব্যাটারি রয়েছে ৫২০০ অ্যাম্পিয়ার। তাদের ভাষ্য মতে এখানে আপনি দুই দিনের ব্যাটারি লাইফ সুবিধা পাবেন। এতে আরো কিছু ফিচার সংযুক্ত করা রয়েছে। পানি ও ধুলা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে IP52 রেটিং, ডলবি অ্যাটমস, ডুয়েল স্টিরিও স্পিকার, হাই রেজের সাউন্ড ও ইউ এস বি পোর্ট সি এর সুবিধা পাবেন।
৩. Itel A80
- 4 GB RAM + 128 GB ROM = 6999 tk
Itel A80 এর বৈশিষ্ট্য :
- 6.6" HD Display + 120 Hz IPS Screen
- Unisoc T603 processor
- Android 14 Go
- 50 MP Rear Camera
- 8 MP front camera
- 10 W Charger, 5000 mAh Battery
এই ফোনটি তে আপনি ৬.৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে সহ ৭২০×১৬০০ পিক্সেল রেজোলিউশন সাপোর্ট পাবেন। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট পাবেন। ১২ ন্যানো মিটারের ফেব্রিকেশনে তৈরি ১.৬ গিগা হার্টজ ক্লক যুক্ত ইউনিসোক T603 অক্টাকোর প্রসেসর রয়েছে। এই ১৪ গো এডিশন গো সহ লঞ্চ করা হয়েছে। এতে Android Go থাকার ফলে Google Go এর ওয়েবসাইট গুলো খুব সহজেই ইন্সটল করা যাবে ফলে স্টোরেজও কম খাবে। এতে ইন্টারনেট ও ব্যাটারি খরচও অনেক কম হবে। ফলে অ্যাপ গুলোও স্মুথ ভাবে কাজ করবে।
ডুয়েল ক্যামেরা সুবিধা পাবেন। ফোনের ব্যাক প্যানেলে LED সহ অ্যাপার্চার যুক্ত ৫০ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা সেট আপ পাবেন। সাথে এখানে রয়েছে এইচ ডি আর লেন্স ও সেকেন্ডারি এ আই লেন্স। সামনের দিকে ৮ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা পাবেন ও এতে 5000 mAh ব্যাটারি সুবিধা রয়েছে।
ধুলোবালি ও পানি সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে এতে IP54 রেটিং দেওয়া হয়েছে। সিকিউরিটিতে ফোনে সাইড মাউন্টেড ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট সহ ফেস আনলক এর মতো বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। এতে ৩ বছরের ল্যাগ ফ্রি ফ্লুয়েন্সি প্যারফম্যান্স রয়েছে।
৪. Redmi A3
- 3 GB RAM + 64 GB ROM = 7299 tk
- 4 GB RAM + 128 GB ROM = 8299 tk
- 6 GB RAM + 128 GB ROM = 9299 tk
Redmi A3 এর বৈশিষ্ট্য:
- 6.67 " HD display + 90 Hz refresh rate
- Media Tek Halio G35
- Android 13 Go OS
- 10 W Charger, 5000 mAh Battery
- 8 MP Back Camera
- 5 MP front camera
এখানে আপনি ৬.৬" ডিসপ্লে সুবিধা পাবেন। স্কিন ১৬৫০× ৭২০ পিক্সেল রেজোলিউশন, ৯০ Hz রিফ্রেশ রেট ও কার্নি গোরিলা গ্লাস ৩ প্রোটেকশন রয়েছে। Android 13 Go addition সহ 2.2 GHz ক্লক স্পীড যুক্ত 12nm প্রসেসে তৈরি মিডিয়াটেক হেলিও জি ৩৬ অক্টাকোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রাফিক্সের জন্যে এখানে IMG PowerVR GE8320 @ 680 MHz GPU ব্যবহার করা হয়েছে। মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে এর স্টোরেজ ১ টিভি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
৫. LAVA O2
- 8 GB RAM + 128 GB ROM = 7999 tk
LAVA O2 এর স্পেসিফিকেশন :
- 6.5" HD Display + 90 Hz refresh rate screen
- Unisoc T616 processor
- 18w Charger, 5000 mAh battery
- 50 MP Back Camera
- 8 MP Front camera
এতে ৬.৬ " HD Display দেওয়া হয়েছে। 90 Hz রিফ্রেশ রেট ও ৭২০×১৬০০ পিক্সেল রেজোলিউশন এবং ২৬৯ পি পি আই পিক্সেল ডেনসিটি সাপোর্ট করে। এর অপারেটিং সিস্টেম 13 Os এবং এন্টি লেভেল Unisoc T616 চিপ সেট যোগ করা হয়েছে। এই চিপসেটের আনটুটু স্কোর হলো ২৮০ কে। এতে ভার্চুয়াল র্যাম সুবিধা রয়েছে ৮ জিবি। অর্থাৎ মোট ১৬ জিবি র্যাম পারফরম্যান্স সুবিধা পাওয়া যাবে। ফটোগ্রাফিতে দুটি ক্যামেরা রয়েছে। সামনের ক্যামেরা ৫০ মেগা পিক্সেল ও পেছনের ক্যামেরা ৮ মেগা পিক্সেল। ব্যাটারি ৫০০০ অ্যাম্পিয়ার ও ১৮ ওয়াটের চার্জার রয়েছে। কানেক্টিভিটি সুবিধা হিসাবে ফোনে ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক, এমএম রেডিও, ডুয়েল ৪ জি VoLTE, ফেস আনলক ফিচার ও ব্লুটুথের মতো প্রয়োজনীয় ফিচার রয়েছে।
মোবাইল কেনার আগে করণীয়
কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি তা সম্পর্কে জেনেছেন। আপনি যদি নতুন কোনো ফোন ক্রয় করতে যান তাহলে কিছু বিষয় আপনাকে নজরে রাখতে হবে। এই বিষয় গুলোর মধ্যে হলো প্রসেসর, র্যাম, স্টোরেজ, ডিসপ্লে, ডিসপ্লে নিটস, টাচ স্যাম্পলিং রেট, ক্যামেরা, ব্যাটারি ও সফটওয়্যার আপডেট ইত্যাদি। আপনার প্রসেসর যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে ফোন ভালো হবে। প্রসেসরে কোর সংখ্যা যত বেশী পরিমাণে থাকে স্মার্টফোন তত দ্রুত কাজ করে। আবার আপনি যদি গেমিং এর জন্যে ফোন ক্রয় করতে চান তাহলে আপনার ক্লক স্পীড এর দিকে নজর দিতে হবে। ক্লক স্পিড যত বেশী হবে গেমিং পারফরম্যান্স ভালো হবে। আবার প্রসেসরে ন্যানো প্রযুক্তিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রসেসরে ন্যানো মিটার প্রযুক্তি যত কম হবে ফোন তত দ্রুত হয় এবং ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পাওয়া যায়।
পুরোনো স্মার্টফোন কেনার আগে করণীয়
আমরা অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন ক্রয় করে থাকি। ফোন যেহুতো আগে চালানো হয়েছে তাই এর কিছু বিষয় সম্পর্কে আমাদের জেনে নেওয়া জরুরী। প্রথমেই আমাদের ফোনের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ফোনের পর্দা ঠিক আছে কি না, এর সকল বাটন গুলো সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না সব কিছু সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন। ফোনটি কত দিনের পুরোনো তা সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। বেশী দিনের যদি পুরোনো হয়ে থাকে তবে আপডেট করার আর ভার্সন পাবেন না।
ফোনের জন্যে ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফোনে ব্যাটারিতে কেমন চার্জ টেকসই করে তা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিবেন। ব্যাটারির ক্ষমতা কেমন এবং কেমন চার্জ টিকে তাও জানার চেষ্টা করবেন। ফোনে অপারেটিং সিস্টেমে হালনাগাদ সিস্টেম রয়েছে কি না বা আরো কত দিন এই সুবিধা পাওয়া যাবে তা সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। কোনো আপডেট না থাকলে আপনার ফোনটি স্লো হয়ে যাবে ও নিরাপত্তায় ত্রুটি থাকবে। ফোন কেনার সময় IMEI নম্বরটি চেক করে নিবেন। ফলে ফোনটি চুরি করা কি না তা জানতে পারবেন। ইন্টারনেট ও ক্যামেরা পরীক্ষা করে ফোনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।
ফোন কে টেকসই করতে করণীয়
কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি সম্পর্কে জেনেছেন। আপনি যদি আপনার ফোন কে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। ফোনের যত্ন করতে হবে। ফোন কে কিভাবে ব্যবহার করছেন সে সম্পর্কেও আপনাকে ধারণা নিতে হবে। তাই চলুন জেনে নিন কিভাবে ফোন দীর্ঘ দিন ব্যবহার করবেন।
- অব্যবহৃত অ্যাপ গুলো ডিলিট করে দিন।
- স্টোরেজ কমিয়ে রাখুন।
- অ্যাপ গুলো আপডেট করে রাখুন।
- কভার ও স্কিন প্রটেক্টর ব্যবহার করুন।
- চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার পরিষ্কার করে রাখুন।
- বেশী তাপমাত্রা স্থান এড়িয়ে চলুন।
মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো পাওয়ার উপায়
আপনি যদি আপনার ফোনে ব্যাটারি ব্যাক আপ বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে।
আপনার ফোনে যদি ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পাওয়া যায় তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন৷ আপনি যদি ভালো পরিমান ব্যাটারি ব্যাক আপ পেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন।
- Always on display বন্ধ করে রাখুন।
- ফোনে ডার্ক মোড অন করে রাখুন।
- অ্যাডাপটিব ব্যাটারি চালু করে নিন।
- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।
- স্কিন টাইম সর্বনিম্ন রাখুন।
- হেই গুগল ডিটেকশন বন্ধ করে দিন।
- নোটিফিকেশন কমিয়ে নিয়ে আসুন।
- ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ডাটা ব্যবহার না করলে বন্ধ করে রাখুন
মোবাইলে ভাইরাস চেক করার উপায়
কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি তা সম্পর্কে জেনেছেন। আপনার ফোনে ভাইরাস আছে কি না তা কিভাবে বুঝতে পারবেন, যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। খুবই সহজেই কিছু বিষয় গুলোর দিকে লক্ষ্য করে বুঝে নিতে পারেন ফোনে ভাইরাস রয়েছে কি না। আপনি যদি আপনার ফোনে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে ভাইরাস রয়েছে কি না বুঝতে পারবেন।
- আপনার ফোনে অপ্রয়োজনীয় পপ- আপ আসবে।
- ডেটার অনেক বেশী পরিমাণে খরচ হতে থাকবে।
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ দেখতে পাবেন।
- ব্যাটারির লাইফ দ্রুত কমতে থাকবে।
- ফোন খুবই ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায়
আপনি যদি আপনার ফোন থেকে ভাইরাস দূর করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। ভাইরাস প্রবেশ করলে ফোনের দ্রুত ক্ষতি হতে পারে।
আপনি কাজ করে আরাম পাবেন না। বিরক্তি বোধ করবেন। তাছাড়া ভাইরাস আরো বেশী বিস্তৃত লাভ করতে পারে। তাই এই গুলো দূর করার জন্যে কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে পারেন।
- বিশ্বাসযোগ্য অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন।
- ক্যাশ ও অপ্রয়োজনীয় ডাটা গুলো ডিলিট করুন।
- বিপদজনক অ্যাপ গুলো আনইন্সটল করে দিন।
- ফ্যাক্টরি রিসেট করে দিন।
মোবাইলে চার্জ দেরীতে হলে করণীয়
বেশ কিছু মোবাইল ফোনে চার্জ দেরিতে হয়ে থাকে। তাই আপনাকে কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে। এই গুলো নিম্নে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- ফোনের ক্যাবল পরীক্ষা করে নিন।
- কম্পিউটারের সাথে ক্যাবল জুড়ে চার্জ দিলে দেরীতে চার্জ হয়।
- আপনি যে জায়গায় চার্জ দিচ্ছেন সেখানে পর্যাপ্ত ভোল্টেজ রয়েছে কি না চেক করুন।
- ব্যাটারির কোনো সমস্যা আছে কি না চেক করুন।
মোবাইলে চার্জ দেরীতে হওয়ার কারন
আপনার ফোনে বিভিন্ন কারনে চার্জ দেরিতে হতে পারে। এর জন্যে বেশ কিছু কারন দায়ী করা যেতে পারে। আপনি যদি এই সমস্যা ঠিক করতে চান তাহলে আপনাকে সচেতন হবে।
কারণ গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে খুব সহজেই সমাধান করতে পারবেন। চার্জ দেরীতে হওয়ার জন্যে নিম্নোক্ত কারন গুলো দায়ী।
- ফোন পুরোনো হলে চার্জ নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
- চার্জিং পোর্টে কোনো সমস্যা থাকতে পারে।
- ব্যাটারির সমস্যা হলে চার্জ দেরীতে হয়।
- ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি অ্যাপ চালু থাকে তাহলে চার্জ দেরীতে হয়।
- খারাপ ক্যাবল ব্যবহার করা হলে চার্জ দেরিতে হয়।
- চার্জিং পোর্টে সমস্যা থাকলে।
- দূর্বল পাওয়ার সোর্স ব্যবহার করা হলে।
- মোবাইল চার্জে বসিয়ে ব্যবহার করার ফলে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে কম দামে ভালো মোবাইল কোনটি তা সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়েছেন। এই সম্পর্কে কোনো মন্তব্য থাকলে তা জানাতে পারেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুর সাথেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url