স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
গাজর খাওয়ার উপকারিতাস্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন আপনি কি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী। তাহলে আজকের আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব এবং প্রয়োজন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রগঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
- স্বাস্থ্যবিধি কাকে বলা হয়
- স্বাস্থ্যবিধি কেন মেনে চলতে হয়
- অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও তার ক্ষতি
- সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধির কৌশল
- ঘরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার উপায়
- ধূমপান ও মাদক পরিহারে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব
- ওজন নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধির ভূমিকা
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা
- লেখকের শেষ কথা
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
সাধারণত একটি সুন্দর স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলি, তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির অনেক ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া শরীরে খুব দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তীতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব অনেক।
নিয়মিত হাত ধোয়া, সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার অভ্যা গড়ে তুললে, এটি শুধুমাত্র আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করবে না বরং আমাদের জীবনকে স্বাস্থ্যকর করে গড়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই অন্তত আমাদের জীবনকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন এ বিষয়ে জানতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধিকে গ্রহণ করতে হবে। তাই চলুন আমরা জেনে নেই স্বাস্থ্যবিধি কেন মেনে চলা দরকার এবং কিভাবে তা আমাদের জন্য সুস্থতা নির্ভর করে।
স্বাস্থ্যবিধি কাকে বলা হয়
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্বাস্থ্যকর উপায়ে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য যে নিয়ম কারণগুলো অবলম্বন করা হয়, তাই মূলত স্বাস্থ্যবিধি নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে স্বাস্থ্যবিধি বলতে বোঝায় আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে সেটিই স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি মূলত সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসম্মত জীবনযাত্রা এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মধ্যে সমষ্টিবদ্ধ।
স্বাস্থ্যবিধি কেন মেনে চলতে হয়
স্বাস্থ্যবিধি বলতে বোঝায় নিজের শরীরকে সুস্থভাবে পরিচালনা করার জন্য বা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য দৈনন্দিন জীবনে যে নিয়ম কারণগুলো অনুসরণ করতে হয় সেটিকে। এই স্বাস্থ্যবিধি মূলত আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং সংক্রমণ জড়িত রোগ প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার একটি অন্যতম উপকারিতা হলো এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে।
.webp)
মোটকথা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যবিধি অবলম্বন করার মাধ্যমেই আমরা আমাদের বাস্তবিক জীবনে সুস্থ থাকতে এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে পারব। তাই আমাদের করণীয় শুধু নিজের জন্যই না পাশাপাশি সমাজের সবার জন্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপদেশ দেওয়া যাতে আমরা সুস্থ থাকি এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।
অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও তার ক্ষতি
অনেক সময় আমরা আমাদের বাস্তবিক জীবনে ধীরে ধীরে এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলি, যা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই অভ্যাসগুলোর মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার এমন কিছু কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলো আমাদের মৃত্যুর মতো ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। তাই চলুন আমরা এ ধরনের কিছু অভ্যাসএবং তার ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
নিম্নমানের সানগ্লাস ব্যবহার করাঃ অনেক সময়েই আমরা সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে নিম্নমানের সানগ্লাস গুলো ব্যবহার করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এই ধরনের চশমাগুলো আমাদের চোখকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা তো করেই না বরং চোখের উপর রেটিনা বার্ন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। যেটি পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ক্যান্সারের দিকে ধাবিত হতে পারে। তাই সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে চোখ কে রক্ষা করতে আমাদের কোন সময়ই নিম্নমানের সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত নয়।
আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করাঃ আমরা জানি পর্যাপ্ত পানি পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে অনেক গবেষকরা বলেন শরীরে পানির চাহিদা ব্যক্তি হিসেবে পৃথক পৃথক হয়ে থাকে তাই সবার ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত পানি পান করা উচিত না। যেমন আপনি যদি নিয়মিত খেলাধুলা বা পরিশ্রমজনিত কাজ করেন, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে , এক্ষেত্রে আপনার যদি কিডনি বা হার্ট জনিত কোন সমস্যা থাকে, তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে পান না করাই ভালো।
উপুড় হয়ে ঘুমানঃ সাধারণত আমরা অনেকেই নিজেদের ইচ্ছামত ভঙ্গিতে ঘুমাতে পছন্দ করি। তবে এর মধ্যে উপর হয়ে ঘুমানো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে, যেমন ফুসফুসের সমস্যা হওয়া এবং মেরুদন্ড অতিরিক্ত ব্যাথা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো উপর হয়ে ঘুমানোর কারণে শরীরের সম্পূর্ণ চাপ বুকের উপর পড়ে, ফলে হৃদযন্ত্রের মত রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধির কৌশল
সাধারণত যেকোনো ধরনের সংক্রমণ জনিত রোগ এড়িয়ে চলতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা হল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি। মূলত যে কোন ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির উপরে আর কোন বিকল্প নেই। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য যেমন হাচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা, বাহিরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলা যতটা সম্ভব ঘরের খাবার গ্রহণ করা ইত্যাদি।
এছাড়াও নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা, ব্যক্তিগত জিনিস যেমন চিরুনি, গামছা, রুমাল একসাথে একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার না করা এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানা চাদর, বালিশের কভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা বা ধুয়ে দেওয়া। মূলত এই ধরনের ব্যক্তিগত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করেই সংক্রমণজনিত রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। এগুলো মূলত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
ঘরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার উপায়
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করার জন্য ঘরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ঘরের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় না থাকলে, এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই ঘরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ঘরের মধ্যে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা ব্যবহার না করা।
কেননা অতিরিক্ত আলো কিছু ক্ষেত্রে মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও বাড়ির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় রান্নাঘর, যেহেতু রান্নাঘর থেকেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাবার তৈরি করা হয়, তাই রান্নাঘর নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং রান্নাঘরের দুর্ঘটনা এরাতে এটি ব্যবহারের পর যথা সম্ভব শুষ্ক করে রাখা, যাতে এখানে পা পিছলে কোন দুর্ঘটনার আশঙ্কা না থাকে।
আরো পড়ুনঃ জাফরানের ২০ উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও অনেক সময়ে বাথরুমে পড়ে দুর্ঘটনার ঘটনা শোনা যায়, তাই এটি এড়িয়ে চলার জন্য বাথরুমের বাইরে রাবারের মাটি বা কার্পেট ব্যবহার করা। যাতে এটি অতিরিক্ত পিছল না হয়ে দুর্ঘটনার কারণ না হয়। মূলত ঘরবাড়ি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস রোগ জীবাণু প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
ধূমপান ও মাদক পরিহারে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব
সুস্থভাবে জীবন যাপন করার জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ধূমপান ও মাদক আমাদের শরীরে মারাত্মক কিছু রোগ যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার গুরুতরভাবে কমিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। যেমন একজন সুস্থ সবল মানুষ যখন প্রতিনিয়ত ধূমপান বা মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে যায়, তখন তার শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যায়, কোন কাজে মনোযোগ কমে যায় এবং তার মানসিক অবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হলে দেখা যায় এতে তার ব্যক্তিগত জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরিবার এবং সমাজের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
তাই সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে আমাদের ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থেকে নিয়মিত ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা এবং ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাদক থেকে দূরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শরীর ও মন ভালো থাকবে এবং একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। মোটকথা ধুমপান ও মাদক জীবনকে ধ্বংস করে আর স্বাস্থ্যবিধি জীবনকে সুন্দর করে তোলে। তাই আমাদের সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধির ভূমিকা
সুস্থ এবং কর্মক্ষম জীবনযাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অতিরিক্ত ওজন যেমন শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে ঠিক তেমনি কম ওজনও শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন এবং কোন কোন উপায় গুলো অবলম্বন করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থতার জীবন যাপন করা যায় তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
.webp)
নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যায়ামের উপরে আর কোন বিকল্প নেই।কেননা ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য শারীরিক পরিশ্রমের অপরিহার্য একটি মাধ্যম। তাই আপনাকে ওজন কমাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত ব্যায়াম করা উচিত। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন যেমন হাটা, দৌড়ান, যোগব্যায়াম বা সাইকেল চালানো ইত্যাদি। এ সকল ব্যায়ামগুলো শুধুমাত্র আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে না বরং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মত রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোঃ ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ভূমিকা অনেক। কেননা যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমায়, তাহলে তার স্ট্রেস হরমোন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, যা অতিরিক্ত ক্ষুদা তৈরি করে এবং ওজন বৃদ্ধি করার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্কের মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা
সাধারণত আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে এত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন। মূলত এর কারণ হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপরে আর কোন মাধ্যম নেই । তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর ভাবে পরিচালনা করার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার ২০ উপকারিতা
এক্ষেত্রে আমরা যদি খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধৌত করি, টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আমাদের ঘরবাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। তাহলে এগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণজনিত রোগ থেকে রক্ষা করবে। যা আমাদের জীবনকে আরো সহজ ও সুস্থভাবে পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
লেখকের শেষ কথা
সর্বোপরি আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি তাহলে এটি আমাদের জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি কাশি এবং গোভিড !9 এর মত রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করবে। তাই অন্তত নিজের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য হলেও স্বাস্থ্যবিধি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 37912
বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url