কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি

প্রাকৃতিক ভাবে কিডনি পাথর দূর করুনকিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। অনেকেই কিডনি জটিলতায় ভূগে থাকেন। তাই কিভাবে নিজের কিডনি কে জটিলতা মুক্ত রাখবেন সে বিষয়ে জেনে নিন।

কিডনি- দূর্বল- হলে- করণীয়

কিডনি সমস্যায় ভূগছেন এখন অনেকেই। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হওয়ায়। তাহলে আপনার উচিত এখনই সচেতন হওয়া। তাই চলুন জেনে নিই কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্র : কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি

কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি

আমাদের মেরুদন্ডের উভয় পাশে পাজরের খাজের নিচে অবস্থান করে কিডনি। এই কিডনি মানব দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। আমাদের দেহে ছাকনি হিসেবে কাজ করে থাকে এই কিডনি। দেহে সকল ধরনের বিষাক্ত পদার্থ দেহের বাইরে নিষ্কাশিত করে থাকে এই কিডনি। আমাদের নানা বিপাক, বিক্রিয়া ইত্যাদি ঘটছে। এতে উৎপন্ন হচ্ছে নানা ধরণের বিষাক্ত পদার্থ। তাই এই বিষাক্ত পদার্থ গুলো দেহ থেকে বাইরে বের করার প্রয়োজন পড়ে। যদি এই বিষাক্ত পদার্থ যেমন ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি বর্জ্য গুলো দেহে থেকে যায়, তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কিন্তু কিডনি এই বিষাক্ত পদার্থ গুলো কে দেহের বাইরে মূত্র রূপে বের করে দেয়। তাই কিডনি কে সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিডনি সুস্থ রাখতে নিম্নোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করুন।

১. স্বাস্থ্যকর জীবন ধারা অনুসরণ করুন
নিয়মিত ভাবে যদি ব্যায়াম করা হয় তাহলে দীর্ঘ মেয়াদী কিডনি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যায়াম করার ফলে অনেকাংশেই কিডনি সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। ব্যায়াম করার ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, রক্ত চাপ কমায়, এই গুলো কিডনি সুরক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। ব্যায়াম বলতে এখানে আপনার তেমন কঠিন কোনো ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন নামাজ আদায় করলেও কিন্তু আপনার ব্যায়াম হয়ে যায়। কারণ এখানে সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের নড়া চড়া হয়ে থাকে। আবার আপনি একটু হাঁটা চলা করতে পারেন। দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোও স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। এই গুলো আপনার কিডনি সমস্যা দূর কিডনির কার্য ক্ষমতা ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
উচ্চ রক্ত চাপ কিডনির জন্যে ক্ষতিকর। আপনার যদি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরল এর মতো সমস্যার কারনে উচ্চ রক্ত চাপ দেখা দেয় তাহলে তা আপনার কিডনি সহ বাকি সকল অঙ্গেই প্রভাব ফেলতে পারে। রক্ত চাপের আদর্শ মাত্রা হলো ৮০ থেকে ১২০। আপনি কিভাবে জীবন পরিচালনা করছেন, কি ধরণের খাবার গ্রহণ করছেন তার উপর এই বিষয় গুলো নির্ভর করে থাকে। আপনার রক্ত চাপ যদি ১২০ এর উপরে চলে যায় তবে তার জন্যে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নিজের খাদ্যভাস ও জীবন ধারায় পরিবর্তন নিয়ে আসুন। তাহলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন এবং কিডনি সুস্থতা রক্ষা করতে পারবেন।

৩. বেশী পরিমাণে তরল খাবার খান
আমাদের দৈনিক আট গ্লাস পানি খাওয়ার প্রয়োজন হয়। এর ফলে আমাদের শরীর অনেক হাইড্রেট থাকে। তাই নিজে কে সতেজ ও হাইড্রেট রাখতে ও কিডনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনাকে দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। তাই ধারাবাহিক ভাবে পানি খাওয়া রক্ষা করবেন ফলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে। নিয়মিত ভাবে পানি পান করার ফলে আপনার কিডনির দীর্ঘ মেয়াদী যে রোগ গুলো রয়েছে সে গুলো হওয়ার সম্ভবনা অনেকাংশেই কমে যাবে। আর তাই কমপক্ষে আপনার দিনে ১.৫ লিটার থেকে ২ লিটার পানি পান করা উচিত। আপনার স্বাস্থ্য ও জীবন ধারার উপর হিসাব করে পানি খাবেন।
কিডনি- রোগ- কত -ধরণের
পানি খাওয়া বিষয়টি বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন জলবাযু, ব্যায়াম, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যের অবস্থা, গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে এমন বিষয় গুলো নজরে রেখেই পানি পান করা উচিত। তবে যাদের কিডনি তে পাথর হয়েছে বা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তারা যদি বেশী বেশী পানি পান করে তবে তা রোধ হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী পরিমাণে থাকে।

৪. রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে এই বিষয়টি যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি এটি কিডনির জন্যেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতিরিক্ত শর্করা কিডনির ক্ষতি করে দিতে পারে। আপনার রক্তে যদি বেশী পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে তাহলে কিডনির ছাকন প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়। তাই আপনাকে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাই নিজের কিডনি কে সুস্থ রাখতে ও কর্মক্ষম করতে এই বিষয় গুলোর দিকে গুরুত্ব দেন।

৫. ডায়েট ও ওজন বজায় রাখুন
আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত বেশী পরিমাণে থাকে তবে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত কিডনি সমস্যা আপনার ডায়বেটিস জটিলতা, হৃদরোগ ও দীর্ঘ স্থায়ী কিডনি রোগ ইত্যাদি হতে পারে। কম সোডিয়াম ও পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। কিডনি সমস্যা এড়াতে আপনি সপ্তাহে ফুলকপি, ব্লুবেরি, মাছ, প্রাকৃতিক ভাবে কম সোডিয়াম যুক্ত উপাদান গুলো গ্রহণ করুন।

৬. ধুমপান এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে আপনার রক্ত নালী গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। যার কারনে আপনার সারা শরীরের পাশাপাশি কিডনিতেও রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আপনি যদি ধুমপান করতে থাকেন তাহলে তা আপনার কিডনি তে ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। এই ঝুঁকি গুলো হ্রাস করতে পারে। তাই আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকলে আজকেই ধুমপান ত্যাগ করুন।

কিডনি ভালো রাখতে কোন ফল খাওয়া হয়

কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে কিডনি। পাশাপাশি এটি শরীরের পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুৃমিকা পালন করে থাকে। এটি হরমোন উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ভুৃমিকা পালন করে থাকে। শরীরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে কিডনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুৃমিকা পালন করে থাকে। আপনার কিডনি কে ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে কিছু ফল। এই ফল গুলো জেনে নিন।

১. আনারস
প্রচুর পানি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল হলো আনারস। এটি কিডনির কার্যকারিতা ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। এতে থাকা ব্রোমোলিন এনজাইম প্রদাহ কমিয়ে থাকে, যা কিডনির কার্যকরিতা কে বৃদ্ধি করে থাকে। তাছাড়া এতে উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম। যা শরীরে দূষিত পদার্থ দূর করতে ও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। তবে কিডনি খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিলে ভালো হয়।

২. তরমুজ
তরমুজে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি। ফলে এটি শরীর কে হাইড্রেট রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তা ছাড়া এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে কিডনি কার্যকারিতা অনেক ভালো থাকে। লাইকোপিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় তরমুজ কিডনির কার্যকারিতা গুলো কে সহজ করে। এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম থাকে তাই এটি কিডনি রোগীদের জন্যে অনেক ভালো।

৩. লেবু
লেবুতে থাকে প্রচুর সাইট্রিক এসিড। এটি ঘন ঘন প্রস্রাবের জন্যে দায়ী। আবার ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনি তে পাথর তৈরি করে থাকে। কিন্তু এতে থাকা সাইট্রিক এসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট কে জমতে দেয় না। যার ফলে কিডনি পাথর প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। তা ছাড়া এটি বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও এটি সাহায্য করে।

কলা কি কিডনির জন্যে ক্ষতিকর

আপনার যদি কিডনি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা কলায় থাকে পটাশিয়াম। এতে পটাশিয়াম এর পরিমাণ অতিরিক্ত। যদিও এতে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে তবে পটাশিয়াম থাকার কারণে কলা খাওয়া যাবে না। কারন যদি রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় তবে তা কিডনি আক্রান্ত রোগীদের জন্যে ক্ষতির কারন হতে পারে। কিডনি হলো মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর একটি। বেঁচে থাকতে ও শরীরের বিভিন্ন কাজ গুলো সম্পন্ন করতে কিডনির ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহুতো কলা তে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এটি রক্তে জমে যেতে পারে। তাই কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কিডনি রোগ কত ধরণের

কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। কিডনি রোগ বেশ কয়েক ধরণের হয়ে থাকে। যেমন দীর্ঘ স্থায়ী কিডনি রোগ, তীব্র কিডনি রোগ, পলিসিস্টিক কিডনি রোগ ও কিডনি তে পাথর হওয়া। এদের মধ্যে পলিসিস্টিক কিডনি রোগ বংশ থেকে আসে।
কিডনি -সুস্থ -রাখার -সহজ- পদ্ধতি
তীব্র কিডনি রোগ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করার প্রয়োজন পড়ে। যদি কিডনি তে পাথর হয় তাহলে অনেক ব্যাথার কারণ হতে পারে। যদি দীর্ঘ স্থায়ী কিডনি রোগ হয় তাহলে আপনার কিডনির কার্যকারিতা আস্তে আস্তে অক্ষম হয়ে যায়। তাই সকল ধরনের কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকবেন।

কিডনি দূর্বল হলে করণীয়

কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন। আপনার যদি কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়ে তবে দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। ধুমপান কিডনির ক্ষতি করে, তাই এই ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করুন। এটি আপনার কিডনি কে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
আপনার যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপ থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত তা চেক আপ করান। উচ্চ রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার গুলো নিজের খাদ্য তালিকায় রাখুন।

ক্রিয়েটিনের মাত্রা কত থাকলে কিডনি ভালো থাকে

রক্তে ক্রিয়েটিনের পরিমাণ দেখে কিডনির অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। একজন পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ ০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রাম। আর স্ত্রী দেহে এর পরিমাণ থাকে প্রতি ডেসি লিটারে ০.৬ থেকে ১.২ মিলি গ্রাম। আবার যাদের একটা কিডনি থাকে না তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনের পরিমাণ ১.৮ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটার হয়ে থাকে। একজন কিশোর এর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ০.৫ থেকে ০.১ মিলিগ্রাম হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনের পরিমাণ ০.৩ থেকে ০.৭ মিলিগ্রাম হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তে যদি ক্রিয়েটিনের পরিমাণ প্রতি ডেসি লিটারে ৫ মিলি গ্রাম হয়ে থাকে তাহলে বুঝা যায় কিডনি ড্যামেজ হয়েছে।

কাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশী

সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশী থাকে। তা ছাড়া যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছে তাদেরও আশংকা থাকে। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকদের এই সমস্যা থাকে। যাদের পরিবারে কিডনিতে পাথর হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তাদের এই সমস্যা থাকে। অ্যান্টাসিড বা মূত্রবর্ধক এর মতো যদি কেউ ঔষধ গ্রহণ করে তাহলে তাদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনিতে বেশ কয়েক ধরণের পাথর দেখা যায়। যেমন ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর, ক্যালসিয়াম ফসফেট পাথর, ইউরিক এসিড পাথর ও সিস্টাইন পাথর।

তেঁতুল খেলে কি কিডনি সমস্যা হয়

তেঁতুলে থাকে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম। যা উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে থাকে। এই কারনে যাদের রক্ত চাপের সমস্যা রয়েছে খাওয়া উচিত হবে না এই তেঁতুল। সেই সাথে কিডনির সমস্যা থাকলে তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়। কারন তেঁতুলে পটাশিয়াম থাকে যার কারনে রক্তে তা জমে যেতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কিডনি রোগে যা খাওয়া যাবে না

কিডনি রোগে খাবারের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। কারণ কিডনি রোগ হলে আপনি কিছু খাবার খেতে পারবেন না। যেমন লাল শাক, ধনে পাতা, পালং শাক, মুলা শাক ও পুঁই শাক খাওয়া যাবে না।
তবে আপনি চাইলে ডাটা শাক, হেলঞ্চা শাক, কচু শাক খেতে পারেন। মূলা, পেয়াজ, ঢ়েড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা, ব্রকলি, ফুলকপি ও শসা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত ইউরিক যুক্ত খাবার গুলো খাওয়া উচিত নয়। যেমন কলিজা, শিমের বিচি, বরবটি, ছোলা, শুঁটকি, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত নয়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে কিডনি সুস্থ রাখার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। কিডনি সম্পর্কিত কোনো ঔষধ সেবন বা রোগীর যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। সবশেষে আপনার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে তা রাখতে পারেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা লিপির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url